তাইওয়ান-চীন উত্তেজনা বাড়ছেই
তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন, তবে এই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ানের সরকার। তাইওয়ানের বর্তমান লাইটিং সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। চীন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করার জন্য একাধিকবার সতর্ক করেছে। তবে চীনের সেই সতর্কতাকে উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে একটি বড় সমরাস্ত্র প্যাকেজ সরবরাহ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্যাকেজে কী কী আছে
শুক্রবার পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো এই ২০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র প্যাকেজে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ইউক্রেনে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো তাইওয়ানের নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি ও প্রয়োজনীয়তা
যুক্তরাষ্ট্রের এই সমরাস্ত্র প্যাকেজে তিনটি আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ব্যবহার করছে এবং এটি তাইওয়ানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই সমরাস্ত্র সরবরাহকে একপ্রকার উস্কানি হিসেবে দেখছে। চীনের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আরও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। চীন তাইওয়ানকে নিয়ে যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছে।
তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও সমরনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক সহায়তা তাইওয়ানের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে সরবরাহ করা হয়েছে বলে পেন্টাগন দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সমরাস্ত্র সহযোগিতা তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করবে এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণে সহায়ক হবে।