ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু জনগণের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এবং তাঁরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রাথমিক সংস্কার সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আধিপত্যবাদ থেকে বেরিয়ে এসে স্বকীয়তা লাভ করেছিল।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের পর মানুষের আশা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, কিন্তু একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশালের মাধ্যমে জনগণের সেই আশা ধূলিসাৎ হয়। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মাধ্যমেই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে তরুণেরা সঠিক ইতিহাস জানতে পারেননি এবং বিকৃত ইতিহাসের প্রচারণা চালানো হয়েছে।
৭ নভেম্বর উদ্যাপন উপলক্ষে বিএনপি দেশজুড়ে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ নভেম্বর আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন থাকবে। একই সঙ্গে জাসাসের উদ্যোগে শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বিএনপির এ কর্মসূচি উপলক্ষে ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ প্রতিবেদন, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।