বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। তিনি দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা
আমির খসরু বলেন, “শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশের মানুষ নতুন একটি মানসিকতা গড়ে তুলেছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা আমাদের বুঝতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য আমাদের স্পষ্ট অবস্থান থাকতে হবে, যাতে সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজ শুরু করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।”
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও দর্শন
সভায় জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও দর্শনের গুরুত্ব উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, “জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ এবং সংস্কারক ছিলেন। মাত্র তিন বছরের শাসনামলে তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তার দর্শন ও নেতৃত্ব আমাদের রাজনীতিতে এখনও প্রাসঙ্গিক।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন যে কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার হবে। গুম হওয়া এবং খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করা হবে।”
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
আমির খসরু অভিযোগ করেন যে, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে একদলীয় করে ধ্বংস করেছেন। এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও হরণ করা হয়েছে।”
তিনি জিয়াউর রহমানের দর্শনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “তার কাজ ছিল বিদ্বেষপূর্ণ নয় বরং প্রয়োজনীয় কাজ বাস্তবায়ন। তিনি কারো বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলতেন না।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানাসহ প্রমুখ।