চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। তাদের এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল কারিগরি শিক্ষকদের প্রতি চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং সরকারি রাজস্ব প্রক্রিয়ার আওতায় শিক্ষকদের বেতন ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি উত্থাপন করা।

চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছিল শিক্ষকদের ৫১ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি।
আরো পড়ুন…
তিনবার বিসিএস ও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর: বিতর্ক ও প্রশ্নের ঝড়
আন্দোলনকারীরা জানান, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে চালু হওয়া স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আজও চাকরি স্থায়ী করা হয়নি, যা শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিকতায় প্রভাব ফেলছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের শিক্ষকদের এতদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা এবং চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। আমরা এই বৈষম্য দূর করতে সরকারের সুস্পষ্ট উদ্যোগ চাই।”
শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে যে, শিক্ষকদের এভাবে অনিশ্চিত অবস্থায় রাখা হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন, যেখানে “শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা কর”, “৫১ মাসের বেতন পরিশোধ কর” এবং “চাকরি স্থায়ী কর” শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা সংহতি প্রকাশ করেন।

চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীরা চাই আমাদের শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হোক। সরকার দ্রুত এ বিষয়টি নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমাদের আশা।”
চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছেন এবং তাদের অনুরোধ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন।
শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। দাবি আদায় না হলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।