কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে ক্ষমতা স্থায়ী করার মাধ্যমে কখনো ভালো ফল পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে; আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যাদের নিষিদ্ধ করা হয়, তারা নিজেরাই দেশের পরিস্থিতি দেখে পালিয়ে যায়। তাদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার মতো কেউ থাকে না, স্লোগান দেওয়ার লোকও থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা এত দিন আইন মানেননি, কিন্তু এখন আইনকে ভয় পাচ্ছেন। যদি ভয়ের কিছু না থাকত, তবে দেশ ছেড়ে পালাতেন না; কারাগারে থাকতেন।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এত অপরাধের পর যারা পালিয়ে গেল, তাদের সহযোগিতা করল কারা? জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার মতামত এই বিষয়ে জানতে চাই।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
ছাত্র-জনতাকে ‘মাথার মুকুট’ হিসেবে অভিহিত করে গয়েশ্বর বলেন, ‘তারা বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতামত চান এবং অবস্থান স্পষ্ট করার কথা বলেন। এই পরামর্শ তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চাওয়া হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিএনপি কি এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে?’