জনপ্রশাসনের অরাজকতা দূর করে কার্যকর সংস্কারের লক্ষ্যে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে এবি পার্টি। তাদের মতে, গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসনের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে, যা দিয়ে একটি জনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঠিক গঠন ও পরিচালনা সম্ভব নয়।
আজ রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি চাকরিতে ক্যাডারভিত্তিক নিয়োগ বাতিল; চাকরির পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে শারীরিক, মানসিক, মানবিক ও মেধার সৃজনশীলতা যাচাইয়ের আধুনিক পদ্ধতি চালু; আমলাদের জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স; স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্ত নির্ধারণ করে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া; পিএসসি ও জনপ্রশাসনের বদলে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বিশেষায়িত নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা; ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে ন্যায়সংগত পদক্ষেপ গ্রহণ; ক্যারিয়ারের যেকোনো পর্যায়ে প্রশাসনে যোগদানের সুযোগ রাখা; প্রশাসনযন্ত্রকে প্রযুক্তিনির্ভর করা এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটিকে ঢেলে সাজানো।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।